পরিত্যক্ত বৈঠার অবকাশ - জাহানারা পারভীন
মাথার তালুতে চুলের স্বাক্ষর,
অনুলিপি পৌঁছে দিও নখের কাছেও।
পৌঁছে দিও হাতের আঙুল বান্ধব নদীর কাছে, তুলে নিও
সব দাবি, অভিমানের শিকড়। আর যত কালো বিড়ালের গান,
ফুল তোলা রুমাল, বেলা-অবেলার যেসব গল্প
বিক্রি হয়ে গেছে খবরের কাগজের সঙ্গে, মুড়ির ঠোঙায় ফিরে
এলে তুলে দিও ফিরতি ডাকে। এসব কথা লেখা ছিল মাঠে মাঠে...
সে এক অদ্ভুত সবুজ...
সবুজ মাঠে আবিষ্কৃত গুড়ের খনি বাড়িয়ে দেয় ডায়াবেটিক আক্রান্ত
পিঁপড়ে শ্রমিকের মর্মবেদনা। এসব শুনে শুনে
হাওরের তীর্থযাত্রীরাও সমঝে চলে আকাশের মেজাজ।
সে এক অদ্ভুত নীল...
যেখানে সব সমাপ্তি ভিড়ে যায় ঝরাপাতাদের দলে,
হাওয়ায় ওড়ে ক্লান্ত পাণ্ডুলিপি, অবিক্রীত গ্রন্থের পাল,
নির্ভার চিনেবাদামের খোসা
বড় দীর্ঘ সে পথ...
যে পথের শেষ কিস্তিতে এসে পিতা হয়ে ওঠেন পরিত্যক্ত বৈঠা।
খরস্রোতা জলে একদিন যার শাসনে ছিল নিষ্পাল নৌকার গতি।
ধীরগতিতে ওড়ানো ঘুড়ির লেজের দৈর্ঘ্যে বাড়ে পুলক, বিস্ময়
সে পুলকে চোখেই পড়ে না ক্র্যাচের ভরে হাঁটা পিতার মুখের বলিরেখা
সে এক অদ্ভুত রেখা...
Comments (0)
Leave a reply