একটি ভাগ্যান্বেষীর বৃত্তান্ত - পার্থপ্রতিম কাঞ্জিলাল

প্রায়শই মিটিমিটি হাসিতে ইচ্ছা করে। নানাভাবে হাসিয়া দেখিয়াছি,
হাসিলে ভাগ্যও হাসিতে শুরু করে। সে হাসি সামলানো শক্ত – তখন
আর কাঁদিয়া কূল পাওয়া যায় না। যে কাঁদে তাহার ভাগ্যও কাঁদে।
অশ্রুজল মুছিয়া ফেলিলে ভাগ্যও সমস্ত অশ্রুজল মুছিয়া ফেলে। অর্থ, সে
যাহা করিয়াছে, ঠিকই করিয়াছে। তখন ক্রোধ হয়। অদৃষ্টও রুষ্ট হইয়া
ওঠে। ক্রোধের জন্য অনুতাপ হইলে ভাগ্যও নানারূপ ঘ্যানঘ্যান করিতে
থাকে। তখন বুঝি যে ভাগ্য আমাকে ভ্যাংচায়। ভ্যাংচাইবেই। স্থির
বুঝিয়াছি যে যাহা কিছু হইবে, যাহা কিছু করিব – গণ্ডগোলই
উহার আঁতুড়, বিবাহবাসর, তীর্থ ও শ্মশান। সুতরাং প্রায়শই
মিটিমিটি হাসিতে ইচ্ছা করে, কেননা, ভাবলেশহীন থাকিয়া
দেখিয়াছি যে ভাগ্যও ভাবলেশহীন থাকে।

Comments (0)

Leave a reply