ব্যালকনিসাইদা
আমার কোনো ব্যালকনি নেই
তাই আমি আকাশ দেখি,
জানালা দিয়েই।
জানালায় আরো নিবিড় হই
যেমন করে প্রচ্ছায়ারা থাকে,
আমি বিমোহিত হয়ে যাই আকাশের সৌন্দর্যে।
মনে মনে ভাবি,
... কলোম্বাসের মতো আমি
যদি একবার, ভুল পথে ঐ আকাশে যেতে পারতুম,
নিগুঢ় সংকেতে যেন
... সমস্ত আকাশের তারাগুলো সজ্জিত হয়,
কি নিপুণভাবে
বিনা টিকিটেই আলোক মেলা।
আলো-কালোর এক অপূর্ব প্রত্ন আঁধার,
নক্ষত্র পুষে পুষে আকাশটি যেন
নিগুঢ় বিজ্ঞান জেনে গেছে,
আমার কোনো ব্যালকনি নেই,
তাই আকাশ দেখি জানালা দিয়েই।
আমি আজ আকাশের সপ্তম মেঘের উপর আল্পনা এঁকেছি।
আকাশের সবগুলো নক্ষত্রই আমায় চেনে,
আমার নিঃসঙ্গের সাথি-
আকাশের সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্রটি।
আমি নক্ষত্রের নিভৃতের মাঝে ডুবে যাই,
আমি ডুবে যাই চাঁদেলা আকাশের মাঝে,
আমি ভুলে যাই আমার যন্ত্রণা,
আমি ভুলে যাই - ল্যাম্পপোস্টের মরীচিকার মতো
চুপসানো বিকেল,
প্রথাগত গোধূলীবিহীন
গোধূলী লগ্ন,
আমি নিমগ্ন হয়ে যাই
আকাশের সাথে, আমার আনন্দের পায়রাগুলো
তখন ময়ূরের মতো পেখম মেলে।
আমার হারিয়ে যাওয়া কৈশর তখন,
ব্যাপ্টিজমের সুখের সাথে ঝুলতে থাকে,
আমার দুঃখগুলো তখন ঘুমিয়ে পড়ে,
যুদ্ধক্লান্ত বিমানের মতো।
আমার কোনো ব্যালকনি নেই,
তাই আমি আকাশ দেখি
জানালা দিয়েই।
Comments (0)
Leave a reply